নিউজ ডেস্কঃ
একসময় দেখা যায় যাদের বাসাতে নুন আনতে পান্তা ফুরায় এক কথায় অভাব অনটন লেগেই থাকতো এখন তাদের সন্তানেরা দামি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তাদের আয়ের উৎস ইমো এবং বিকাশ হ্যাকিং। এদের অনেকেই রাজনৈতিক কারণে ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকে। মাঝেমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলেও কিছুদিন পরে আবার জামিনে বের হয়ে এসে পুনরায় তাদের পুরনো ধান্দায় ফেরে। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম সহজ হওয়ায় ইমো ও বিকাশ হ্যাকিং খুব সহজেই হয়ে থাকে। বিশেষ করে প্রবাসীরা এ সকল ফাঁদে বেশি পরে। বাঘা উপজেলার চানপুর, খানপুর, বেংগারি, কিশোরপুর, গৌরাঙ্গপুর ও লালপুর উপজেলার পানসি পাড়া, দুরদুরিয়া, মনিহারপুরে সব থেকে বেশি ইমো ও বিকাশ হ্যাকিং হয়ে থাকে।
বর্তমান সময় দেখা যায় যে ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া সিম তোলা যায় না, কিন্তু অন্যের ব্যবহৃত সিম যেমন কেউ মারা গেলে, অথবা মোবাইল হারিয়ে গেলে তাদের সিমগুলো নিয়ে, অন্যের নামে ইমো একাউন্ট তৈরি করে বিকাশ ও ইমো হ্যাকিং করে মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। অনেক সময় প্রকৃত সিমের মালিক এই বিষয়ে কোন কিছুই জানতে পারেনা যে তাদের সিম দিয়ে ইমু ও বিকাশ হ্যাকিং হয়েছে। পরবর্তীতে প্রকৃত সিমের মালিক আইনি সমস্যার সম্মুখীন। উঠতি বয়সের ছেলেরা এই ধরনের অপরাধ বেশি করে থাকে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম বলেন গত এক বছরে ১৫০ শতাধিক ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং তাদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন গত এক সপ্তাহে ২৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। ইমো ও বিকাশ হ্যাকিং প্রতিরোধ বিষয়ে তিনি বলেন সমাজের সব শ্রেণীর মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে তবেই এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত হবে না।
Leave a Reply